অরিজিৎ অফিসে ছুটি পাওয়ায় ঠিক করল কদিনের জন্য কোথা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।যেমন ভাবা তেমন কাজ.. অফিসের কজনকে জুটিয়ে নিল সে। প্রায় পাঁচ, ছয় জন মিলে তারা রওনা দিল সুন্দরবনের দিকে। শহরে এই ইটকাঠের জীবনে কিছুটা হাঁপিয়ে উঠেছিল সে, চাইছিল কিছুটা বিশ্রাম। শুধুমাত্র শারীরিক নয়, দরকার ছিল মানসিক বিশ্রামের। তাই শান্ত স্নিগ্ধ গ্রাম্য জীবনই ছিল একমাত্র কাম্য।
যাইহোক, সেখানে পৌঁছে প্রথমে ঠিক হলো নৌকাতেই তাদের রাত্রি কাটবে কিন্তু পরে সবাই ঠিক করল জঙ্গলে রাত্রি যাপন করবে। কিন্তু অরিজিৎ জানতো না তার সহকর্মীরা শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্যই জঙ্গলের শান্ত পরিবেশকে বেছে নেয় নি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছু। সেটা তারা কিছুটা গোপন রেখেছিল অরিজিৎ এর কাছে। মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে অরিজিৎ টের পায় এক বন্দুকের শব্দ কিন্তু এই অঞ্চলে প্রায়ই বনবিভাগের লোকজন পাহারা দেয় তাই সে ভাবলো হয়তো সেরকম কিছুই ঘটেছে।
পরদিন মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করল বনের মধ্যে। খেতে বসে অরিজিৎ জানতে পারলো তার থালায় যে মাংসপিণ্ড গুলি রয়েছে তা এক হরিণ শাবকের যাকে তার সহকর্মীরা গতরাত্রে হত্যা করেছিল। রাগে ঘৃণায় অরিজিৎ এর প্রায় কান্না এসে পড়েছিল কিন্তু সে প্রতিবাদ করতে পারেনি নিজের প্রমোশনের কথা ভেবে... কিন্তু সেদিনের মধ্যাহ্নভোজন তার সেখানেই সমাপ্ত হয়েছিল।
এই ঘটনার প্রায় ছ মাস কেটে গেছে, হঠাৎ একদিন অরিজিৎ অফিস গিয়ে জানতে পারল তার এক সহকর্মী সঞ্জয়ের মৃত্যুর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিডনি রোগে সে কিছুদিন ধরে ভুগছিল, তাই ডাক্তার তাকে অপারেশনের পরামর্শ দেয়। অপারেশনের সময় ডাক্তার জানায় তার মৃত্যু ঘটে! কিন্তু পরে জানা যায় কোনো এক অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল সেই ডাক্তার যে সঞ্জয়ের কিডনি অপারেশনের নামে বিদেশে রপ্তানি করে, এর ফলে মৃত্যু ঘটেছে।
হঠাৎই সেইসময় অরিজিৎ এর মনে পড়ে যায় ছয় মাস আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা... আরও মনে পড়ে সঞ্জয় বীরত্বের সাথে সেদিন বলেছিল 'শিকার করাটা এক প্রকার আর্ট, যেটা সবাই পারে না।'
যাইহোক, সেখানে পৌঁছে প্রথমে ঠিক হলো নৌকাতেই তাদের রাত্রি কাটবে কিন্তু পরে সবাই ঠিক করল জঙ্গলে রাত্রি যাপন করবে। কিন্তু অরিজিৎ জানতো না তার সহকর্মীরা শুধুমাত্র বিশ্রামের জন্যই জঙ্গলের শান্ত পরিবেশকে বেছে নেয় নি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য কিছু। সেটা তারা কিছুটা গোপন রেখেছিল অরিজিৎ এর কাছে। মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে অরিজিৎ টের পায় এক বন্দুকের শব্দ কিন্তু এই অঞ্চলে প্রায়ই বনবিভাগের লোকজন পাহারা দেয় তাই সে ভাবলো হয়তো সেরকম কিছুই ঘটেছে।
পরদিন মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করল বনের মধ্যে। খেতে বসে অরিজিৎ জানতে পারলো তার থালায় যে মাংসপিণ্ড গুলি রয়েছে তা এক হরিণ শাবকের যাকে তার সহকর্মীরা গতরাত্রে হত্যা করেছিল। রাগে ঘৃণায় অরিজিৎ এর প্রায় কান্না এসে পড়েছিল কিন্তু সে প্রতিবাদ করতে পারেনি নিজের প্রমোশনের কথা ভেবে... কিন্তু সেদিনের মধ্যাহ্নভোজন তার সেখানেই সমাপ্ত হয়েছিল।
এই ঘটনার প্রায় ছ মাস কেটে গেছে, হঠাৎ একদিন অরিজিৎ অফিস গিয়ে জানতে পারল তার এক সহকর্মী সঞ্জয়ের মৃত্যুর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কিডনি রোগে সে কিছুদিন ধরে ভুগছিল, তাই ডাক্তার তাকে অপারেশনের পরামর্শ দেয়। অপারেশনের সময় ডাক্তার জানায় তার মৃত্যু ঘটে! কিন্তু পরে জানা যায় কোনো এক অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল সেই ডাক্তার যে সঞ্জয়ের কিডনি অপারেশনের নামে বিদেশে রপ্তানি করে, এর ফলে মৃত্যু ঘটেছে।
হঠাৎই সেইসময় অরিজিৎ এর মনে পড়ে যায় ছয় মাস আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা... আরও মনে পড়ে সঞ্জয় বীরত্বের সাথে সেদিন বলেছিল 'শিকার করাটা এক প্রকার আর্ট, যেটা সবাই পারে না।'
No comments:
Post a Comment