"মন্দ মেয়ে" শব্দটা আমাদের সকলের কাছেই অতি পরিচিত। সমাজের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কথাটার প্রয়োগ হয়ে থাকে। কখনো পুরুষেরা বলে, কখনো বা আমরা মেয়েরাই মেয়েদের খারাপ বলে হয়তো কিছুটা মানসিক শান্তি অনুভব করি... কিন্তু ভাবার বিষয়, যে মহিলাদের বা মেয়ে গুলোকে আমরা 'খারাপ' বলে থাকি বা সমাজ তাদের খারাপের তকমা লাগিয়ে দেয় তারা কতটা এই বিশেষণ এর জন্য প্রযোজ্য!
"মন্দ মেয়ে"এর তালিকায় প্রথমেই যে মেয়েদের অন্তর্ভুক্ত করার হয়, তারা হল সমাজের প্রথাগত নিয়মের বা তথাকথিত গন্ডির বাইরে বেরোনোর সাহস দেখিয়েছে যারা। পৃথিবীর সৃষ্টির পর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল 'লিলিথ' থেকে, যাকে স্বয়ং দেবতারাই 'শয়তান'এর আখ্যা দিয়েছিলেন সমাজের নিয়ম ভাঙার অপরাধে। তাই আজও হয়তো যখনই কোন নারী সমাজের নিয়মের বেড়াজাল পেরোনোর চেষ্টা করে তাকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মানব সমাজ এই শতকেও নতুন কিছু আবিষ্কারের কৃতিত্ব কখনই হয়তো কোনো নারীকে দিতে চায় না। তাইতো তার গৃহবধূর রূপটি সকলের কাছে অতি সমাদৃত।
আবার কোন কোন নারী সংসারে সীমানার বাইরে বেরিয়ে যদি আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে চায়.. তখন তাকে প্রথম বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় নিজের খুব কাছের মানুষগুলোর থেকেই। সেক্ষেত্রেও যদি সে বাধা পেরোতে সক্ষম হয় পরবর্তী বাধা হয়ে যায় তার সামাজিক পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশীগণ। যারা হয়তো কোনদিনই তাকে আর্থিক সহায়তা করবে না, কিন্তু সমালোচনার মধ্যে তাকে 'কলঙ্কিনী' বা 'কুলটা' বলার সুযোগটা তারা কোনদিনই হারাতে চায় না।
আর এই "মন্দমেয়ে" দলে সর্বশেষে বলা যায়, সমাজের সেই একশ্রেণীর নারীর কথা যারা মানব সমাজের সর্বকালের জন্য বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। অথচ তাদের ছাড়া হয়তো কোনদিনই সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না। বর্তমানে যারা 'দেহোপজীবিনী' বলে পরিচিত।
মানুষের জীবনধারণের জন্য বিশ্বে যতগুলি পেশা বর্তমান, পতিতাবৃত্তি তাদের মধ্যে আদিমতম। অথচ আজও বিশ্বের অনেক দেশেই এই পেশা অস্বীকৃত। দারিদ্রতা, প্রতারণার ফলে যারা অনিচ্ছায় যুক্ত হয় এই পেশায়, তারা পরবর্তী সময়ে সমাজের মূলস্রোতে মিশতে চাইলেও সমাজ তাদের স্বীকার করে না। তাই সমাজের প্রান্তবাসী এই দেহোপজীবিনী দের মন্দ বলে ব্রাত্য করে রাখার কোন অধিকার কি আমাদের আছে?
আসলেই যুগান্তরের মুখে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করা যায় :
কে মন্দ? ওরা না আমরা?
"মন্দ মেয়ে"এর তালিকায় প্রথমেই যে মেয়েদের অন্তর্ভুক্ত করার হয়, তারা হল সমাজের প্রথাগত নিয়মের বা তথাকথিত গন্ডির বাইরে বেরোনোর সাহস দেখিয়েছে যারা। পৃথিবীর সৃষ্টির পর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল 'লিলিথ' থেকে, যাকে স্বয়ং দেবতারাই 'শয়তান'এর আখ্যা দিয়েছিলেন সমাজের নিয়ম ভাঙার অপরাধে। তাই আজও হয়তো যখনই কোন নারী সমাজের নিয়মের বেড়াজাল পেরোনোর চেষ্টা করে তাকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মানব সমাজ এই শতকেও নতুন কিছু আবিষ্কারের কৃতিত্ব কখনই হয়তো কোনো নারীকে দিতে চায় না। তাইতো তার গৃহবধূর রূপটি সকলের কাছে অতি সমাদৃত।
আবার কোন কোন নারী সংসারে সীমানার বাইরে বেরিয়ে যদি আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে চায়.. তখন তাকে প্রথম বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় নিজের খুব কাছের মানুষগুলোর থেকেই। সেক্ষেত্রেও যদি সে বাধা পেরোতে সক্ষম হয় পরবর্তী বাধা হয়ে যায় তার সামাজিক পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশীগণ। যারা হয়তো কোনদিনই তাকে আর্থিক সহায়তা করবে না, কিন্তু সমালোচনার মধ্যে তাকে 'কলঙ্কিনী' বা 'কুলটা' বলার সুযোগটা তারা কোনদিনই হারাতে চায় না।
আর এই "মন্দমেয়ে" দলে সর্বশেষে বলা যায়, সমাজের সেই একশ্রেণীর নারীর কথা যারা মানব সমাজের সর্বকালের জন্য বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। অথচ তাদের ছাড়া হয়তো কোনদিনই সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না। বর্তমানে যারা 'দেহোপজীবিনী' বলে পরিচিত।
মানুষের জীবনধারণের জন্য বিশ্বে যতগুলি পেশা বর্তমান, পতিতাবৃত্তি তাদের মধ্যে আদিমতম। অথচ আজও বিশ্বের অনেক দেশেই এই পেশা অস্বীকৃত। দারিদ্রতা, প্রতারণার ফলে যারা অনিচ্ছায় যুক্ত হয় এই পেশায়, তারা পরবর্তী সময়ে সমাজের মূলস্রোতে মিশতে চাইলেও সমাজ তাদের স্বীকার করে না। তাই সমাজের প্রান্তবাসী এই দেহোপজীবিনী দের মন্দ বলে ব্রাত্য করে রাখার কোন অধিকার কি আমাদের আছে?
আসলেই যুগান্তরের মুখে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করা যায় :
কে মন্দ? ওরা না আমরা?
No comments:
Post a Comment