অভয় আজ দুদিন হল অফিসে যায়নি, এভাবে আর ছুটি করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বারবার তাকে অফিস থেকে ফোন করে যাচ্ছে কিছুটা বিরক্ত বোধ করা সত্ত্বেও তাকে প্রতিটি ফোনের উত্তর দিতে হচ্ছে। কোন উপায় নেই, সঞ্জনা তার স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ কি যে হয়েছে ডাক্তার দেখিয়েও বুঝতে পারা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় নিজেকে অসহায় লাগছে..
যাই হোক, আজ অফিস যেতেই হবে মাসের শেষের দিকে অনেক কাজ থাকে তার। তাই সঞ্জনাকে বলল, 'আজ তুমি একটু ম্যানেজ করে নাও, আবার কাল তোমার কাছে থাকবো।
' সঞ্জনা বললো, 'ঠিক আছে।'
তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে কাজের চাপে ভুলেই গেছে অভয় বাড়িতে ফোন করার কথা। মোবাইলটা হাতে নিতেই অনুশোচনা হলো! প্রায় ছয়, সাত বার ফোন করেছে সঞ্জনা..
তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফোন করল, কিন্তু ফোনটা সঞ্জনা ধরল না। মনে মনে ভাবল সঞ্জনা রাগ করেছে হয়তো, এমনটাই করে থাকে সব সময়। অফিসে এক সপ্তাহ ছুটি নিল সে। কিন্তু অবাক, অফিস থেকে বেরিয়ে একটু হাঁটতেই দেখলো সঞ্জনা ফোন করছে তাকে। ফোনটা ধরতেই সঞ্জনা জানালো সে তাদের বাড়ি যাওয়ার পথের গলির মোড়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিল হয়তো ভাবল অভয়। গলির মুখে আবছা আলোতে সঞ্জনাকে দেখতে পেল.. দৌড়ে গিয়ে বলল, 'এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো? বেরিয়েছো কেন তুমি?'
সঞ্জনা বলল, 'তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, একা একা ঘরে অন্ধকারে থাকতে ভাল লাগছিল না! তোমায় ফোন করেছিলাম তুমি ধরলে না.. তাই ভাবলাম একটু বেরিয়ে ঘুরে নি বাড়ির চারপাশটা।'
'ঠিক আছে, ঘরে চলো, কদিনের ছুটি নিয়েছি তোমার জন্য.. তোমাকে নিয়ে একটু ছুটিতে কোথাও বেরিয়ে আসবো।'
'নাগো, এই শরীর নিয়ে আর এখন ঘুরতে যেতে পারবো না! তুমি একাই চলে যেও' বলল সঞ্জনা।
সঞ্জনার শরীর কি খুবই খারাপ.. কেননা কদিন আগেই সঞ্জনা খুব ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো, এসব ভাবতে ভাবতে দরজার কাছে আসলো দুজন। ঠিক সেইসময় সঞ্জনা বলল, 'যাও ঘরে যাও, আমি আসছি। চা নিয়ে..' কথাটা বলার সময় অভয় দেখল সঞ্জনার চোখে এক অন্যরকম যন্ত্রণা ফুটে উঠল। এরকম বেদনায় কাতর হতে কখনো দেখেনি অভয় তাকে.. ঘরে ঢুকে অভয়ের দেহ প্রায় অসাড়তায় ভরে আসতে লাগলো সে দেখল সঞ্জনার নিথর দেহটি বিছানার ওপর পড়ে আছে।
পরদিন চেতনা ফিরতে অভয় জানতে পেরেছিল হৃদরোগজনিত কোন কারনে সঞ্জনার শ্বাসকষ্ট হতো তারই ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। ডাক্তার জানায় তার মৃত্যুর সময় ছিল দুপুর দুটো থেকে তিনটের মধ্যে। তখন নিজের ফোনের কল রেকর্ডটা দেখেছিল অভয়.. সঞ্জনা সেদিন তাকে ফোন করেছিলো যখন, তখন ছিল প্রায় বিকেল চারটে।
যাই হোক, আজ অফিস যেতেই হবে মাসের শেষের দিকে অনেক কাজ থাকে তার। তাই সঞ্জনাকে বলল, 'আজ তুমি একটু ম্যানেজ করে নাও, আবার কাল তোমার কাছে থাকবো।
' সঞ্জনা বললো, 'ঠিক আছে।'
তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে কাজের চাপে ভুলেই গেছে অভয় বাড়িতে ফোন করার কথা। মোবাইলটা হাতে নিতেই অনুশোচনা হলো! প্রায় ছয়, সাত বার ফোন করেছে সঞ্জনা..
তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফোন করল, কিন্তু ফোনটা সঞ্জনা ধরল না। মনে মনে ভাবল সঞ্জনা রাগ করেছে হয়তো, এমনটাই করে থাকে সব সময়। অফিসে এক সপ্তাহ ছুটি নিল সে। কিন্তু অবাক, অফিস থেকে বেরিয়ে একটু হাঁটতেই দেখলো সঞ্জনা ফোন করছে তাকে। ফোনটা ধরতেই সঞ্জনা জানালো সে তাদের বাড়ি যাওয়ার পথের গলির মোড়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিল হয়তো ভাবল অভয়। গলির মুখে আবছা আলোতে সঞ্জনাকে দেখতে পেল.. দৌড়ে গিয়ে বলল, 'এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো? বেরিয়েছো কেন তুমি?'
সঞ্জনা বলল, 'তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, একা একা ঘরে অন্ধকারে থাকতে ভাল লাগছিল না! তোমায় ফোন করেছিলাম তুমি ধরলে না.. তাই ভাবলাম একটু বেরিয়ে ঘুরে নি বাড়ির চারপাশটা।'
'ঠিক আছে, ঘরে চলো, কদিনের ছুটি নিয়েছি তোমার জন্য.. তোমাকে নিয়ে একটু ছুটিতে কোথাও বেরিয়ে আসবো।'
'নাগো, এই শরীর নিয়ে আর এখন ঘুরতে যেতে পারবো না! তুমি একাই চলে যেও' বলল সঞ্জনা।
সঞ্জনার শরীর কি খুবই খারাপ.. কেননা কদিন আগেই সঞ্জনা খুব ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো, এসব ভাবতে ভাবতে দরজার কাছে আসলো দুজন। ঠিক সেইসময় সঞ্জনা বলল, 'যাও ঘরে যাও, আমি আসছি। চা নিয়ে..' কথাটা বলার সময় অভয় দেখল সঞ্জনার চোখে এক অন্যরকম যন্ত্রণা ফুটে উঠল। এরকম বেদনায় কাতর হতে কখনো দেখেনি অভয় তাকে.. ঘরে ঢুকে অভয়ের দেহ প্রায় অসাড়তায় ভরে আসতে লাগলো সে দেখল সঞ্জনার নিথর দেহটি বিছানার ওপর পড়ে আছে।
পরদিন চেতনা ফিরতে অভয় জানতে পেরেছিল হৃদরোগজনিত কোন কারনে সঞ্জনার শ্বাসকষ্ট হতো তারই ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। ডাক্তার জানায় তার মৃত্যুর সময় ছিল দুপুর দুটো থেকে তিনটের মধ্যে। তখন নিজের ফোনের কল রেকর্ডটা দেখেছিল অভয়.. সঞ্জনা সেদিন তাকে ফোন করেছিলো যখন, তখন ছিল প্রায় বিকেল চারটে।